জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবনীর বিষয়ে আলেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মওলানা ভাসানী দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমার বাবা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আম্মা এ ব্যাপারে কোনো দিন অভিযোগ-অনুযোগ করেননি। মা হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি।’
আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের দল শুধু রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আমার মা, ভাই ও তাদের নববধূদের। আমাদের পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। মা সবসময় একটা সাহস নিয়ে চলতেন। বাবার সংগ্রামের ভেতরে ছিল দেশের স্বাধীনতা। এটা পৃথিবীর কেউ না জানুক, মা কিন্তু জানতেন। কারণ, আব্বা মার সঙ্গে সব সময় কথাগুলো বলতেন। আমার মাকেও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মামলায় মাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
মা জীবনের পাশাপাশি মরণেও আমার বাবার সঙ্গী হয়ে চলে গেছেন- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট তারা আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করলো, বাবাকে মেরে ফেললো। মা বের হয়ে এলেন। তারা বললেন, আপনি আমাদের সঙ্গে চলেন। মা বললেন, তোমরা যেহেতু তাকে মেরে ফেলেছো। আমাকেও গুলি করে মেরে ফেলো। আমি কোথাও যাব না। জীবনের পাশাপাশি মরণেও আমার বাবার সঙ্গী হয়ে চলে গেছেন মা। আমার মা কিন্তু জীবন ভিক্ষা চাননি।