পলাতক শেখ হাসিনা ভারতে বসে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চান : কৃষক দল সম্পাদক
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পরিবারসহ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি এখন ভারতে বসে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চান। আর সেখানকার হিন্দুত্ববাদী সরকার তাঁকে ইন্ধন জোগায় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ও মহানগর কৃষক দলের আয়োজনে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন শহিদুল ইসলাম বাবুল।
ভারতের শুভেন্দু বাবু ও মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আপনারা বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার করে এখানে সাম্পদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে আবার শেখ হাসিনাকে পাঠাতে চান? আপনাদের এসব হুমকি-ধমকির পরোয়া বাংলাদেশের মানুষ করে না।
শহিদুল ইসলাম বাবুল আরও বলেন, বাংলাদেশের আট কোটি কৃষক বুকে মাইন বেঁধে আপনাদের এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আর বিশ্ব রাজনীতিতে আমরা একা না। আমাদের পাশে এশিয়ার দেশ রয়েছে। ওইসব হুমকি-ধমকি আমরা পরোয়া করি না। বাংলাদেশ আমাদের, আমরা কোনো ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি এ দেশে বরদাস্ত করব না।
শহিদুল ইসলাম বাবুল আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন আগামীতে বিএনপি যদি সরকার গঠন করতে পারে তাহলে কৃষকের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কৃষকের জন্য বিমা, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য আমাদের নেতা বদ্ধপরিকর।
জেলা কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমান শহীদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির রশিদুল ইসলাম লিটন, আজম খান, অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী রতন, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহা: মামুন অর রশিদ মামুনসহ বিএনপি ও কৃষক দলের স্থানীয় নেতারা।
সমাবেশ শেষে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে বিশাল শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় দলের নেতা কর্মীরা শোভাযাত্রায় ব্যান্ড পার্টিসহ নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অংশ নেন। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এতে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক অংশ নেয়।