তিন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি
ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ভারত সরকার বলেছে, ‘এই প্রকল্পগুলো ভারতের সহায়তার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংযোগ ও জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে।’
প্রকল্প তিনটি হলো—আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট। আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে। রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন এবং ত্রিপুরায় পাঁচ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল), যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ৫০ শতাংশের সমান হারে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং দ্বিতীয় ইউনিট আজ বুধবার উদ্বোধন করেন। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হলে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।