ইইউর বিবৃতিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে : ওবায়দুল কাদের
বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেই বিবৃতিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে ইইউর বিবৃতিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে শাস্তি পেতে হবে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালাচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত ২৮ তারিখ আন্দোলনের নামে প্রতারণার নাটক করেছে। তারা সহিংসতা করেছে। তারা পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। তাদের হাতে বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ নয়।
প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটাই করুক। আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা ৮ হাজার নেতাকর্মীকে (বিএনপি) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না। তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না।
পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের দায়িত্ব পালনকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধও জানান।
এ ছাড়া সিলেট থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভা শুরু হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।