দলে দ্বন্দ্ব নেই, মনোনয়নপত্র চেয়েছেন রওশন এরশাদও : জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তাদের দল জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের সম্মানিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ গতকালও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘তার (বেগম রওশন এরশাদ) ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলামের জন্য তিনটি মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন। আজ তার (বেগম রওশন এরশাদ) লোক এলে আমরা মনোনয়ন ফরম দিয়ে দেব। এ ছাড়া বেগম রওশন এরশাদ বললে, আমরা তার মনোনয়ন ফরম পাঠিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দেব। আমার মনে হচ্ছে, আজ হয়ত মনোনয়নের জন্য লোক পাঠাবেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই ‘লাঙ্গল’ নিয়ে নির্বাচন করব। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যারা দীর্ঘদিন পার্টিতে অবদান রেখেছেন, এলাকায় তার জনপ্রিয়তা, দেশ ও মানুষের প্রতি তার কতটুকু দরদ আছে, এসব বিবেচনা করেই আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করব। আমাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আমরা চাই, সাধারণ ভোটাররা যেনো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
চুন্নু বলেন, ‘বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে পারব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে, বিভিন্ন কারণে যারা ফরম তুলতে পারেননি, তারা পার্টি চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে মনোনয়ন ফরম তুলতে পারছেন।’
এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা এবং জাতীয় পার্টি মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত।