অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা, তদন্ত প্রতিবেদন ১০ জানুয়ারি
অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে আগামী ১০ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক এই আদেশ দেন। এ দিন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাতে হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে হিমুর মামা নাহিদ আক্তার উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলায় হিমুর প্রেমিক জিয়াউদ্দিন উরফিকে (৩৬) প্রধান আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, জিয়াউদ্দিন হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাতযাপন করতেন। গত ১ নভেম্বর উরফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়।
এরপর গত ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিয়াউদ্দিন হিমুর বাসায় আসেন। তখন বাসায় মেকআপম্যান মিহিরও ছিল। মিহির দরজা খুলে দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। এরপর ৫টার দিকে জিয়াউদ্দিন মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন জিয়াউদ্দিন বাথরুমে ছিলেন বলে মিহিরকে জানান। মিহির সঙ্গে সঙ্গে রুমে গিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় হিমুকে দেখতে পায়। সেসময় রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাসও ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায় মিহির।
তখন তারা দুজন তাৎক্ষণিক হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হিমুর মৃত্যুর খবর পেয়ে জিয়াউদ্দিন হিমুর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে কৌশলে সেখান থেকে চলে যান।