ইউএনওকে বহাল রাখার দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপি-জামায়াতের মানববন্ধন
ফরিদপুরের সদরপুর ইউএনও আল মামুনকে মৌখিক নির্দেশে সরানোর পরে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা। তার স্বপদে পুনর্বহাল ও মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সদরপুর উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য দেন সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদিউজ্জামান, সদরপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন, জামায়াতনেতা মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কবির, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রাজ্জাক, যুবদলনেতা মুন্সি ইশারত, তরিকুল ইসলাম, বিল্লাহ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। অবিলম্বে তারা আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাকে নিজ কর্মস্থলে পুনর্বহাল রাখার দাবি জানান। একজন ভালো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এভাবে সরানো আমরা মেনে নিতে পারব না। কারো একক কথায় কোনরকম তদন্ত ছাড়াই এভাবে কাউকে সরানো উচিত নয়।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জনপ্রশাসনের সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় হয়। আর এ সভায় বক্তব্য দেন ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি সদরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও আল মামুন। অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য রাখি। সেখানে দিল্লি না ঢাকার প্রশ্নে বলা হয়েছিল, দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। এরপর ওই ইউএনও আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। ওই সময় তিনি তাঁর অঙ্গ ভঙ্গিতে এবং আমাদের ছলে কৌশলে বলার চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগ উইল বি কাম ব্যাক, টুডে অর টুমোরো (আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা আগামীকাল)।
তাঁর এ বক্তব্যের সঙ্গে সভায় একমত পোষণ করে কথা বলা শুরু করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই ইউএনওকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদারকে নির্দেশ দেন।
বুধবার সরানোর নির্দেশের পর পরই প্রতিবাদে বিকেলে জামায়াত এবং বিএনপির পক্ষ থেকে সদরপুরে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আর এ বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তাল রয়েছে এই মুহূর্তে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা।