প্রয়োজনে আবারও সাঈদ-মুগ্ধরা যেকোনো ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করবে : গোলাম পরওয়ার
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘প্রয়োজন হলে আবারও বাংলাদেশের অগণিত আবু সাঈদ-মুগ্ধরা বুকের রক্ত দিয়ে যেকোনো ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু সংস্কারে রাজি জামায়াতে ইসলামী। বাকি সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার।’
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আর কে স্কুল মাঠে জামায়াতের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়া এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আবু সাঈদ-মুগ্ধরা যেমন বুক পেতে দিয়ে বাংলাদেশকে বিজয়ী করেছে তেমনি প্রয়োজন হলে আবারও বাংলাদেশের অগণিত আবু সাঈদ-মুগ্ধরা বুকের রক্ত দিয়ে যেকোনো ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করবে।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু। তবে, গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব বিভাগ করাপ্ট (দুর্নীতিগ্রস্ত) ও পলিটিসাইজ হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সবটা সংস্কার করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের পুনঃসংস্কার একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, সংবিধান, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ রকম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। তারপর নির্বাচনি রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিগত ১৮ বছর দেশে বর্বর শাসন ছিল। গণতন্ত্র ছিল না, রাজনীতি-অর্থনীতি সব ধ্বংস করে দিয়ে ভোটের অধিকার হত্যা করা হয়েছে। সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে, ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিল শেখ হাসিনা। সাজানো ট্রাইব্যুনাল, বিচারক, সাক্ষী, প্রসিকিউটর দিয়ে জামায়াত নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।
মিয়া গোলাম পরওয়া বলেন, নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই বিচার হচ্ছে শেখ হাসিনার। যে অপরাধ শেখ হাসিনা করেছে তাকে কয়েকশবার ফাঁসি দেওয়া যাবে। নির্বাচিত সরকারই পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করবে, ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। নির্বাচনে বিলম্ব হলে ভারতীয় বিজেপির চক্রান্ত সফল হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তাগাছা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. শামসুল হক। কর্মীসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফারুকী, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিম প্রমুখ।