বাজেট
বাজেট উচ্চাভিলাষী, বললেন বিশেষজ্ঞরা
প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। এই বাজেট বাস্তবায়নকে একটা চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করছেন তাঁরা।
‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন কোনো পরিবর্তন এসে পড়েনি যে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব,’ বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় বললেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে আকারটা নির্ধারণ করছি, সেই আকারটার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আমি সংগ্রহ করতে পারব কি না; এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যদি অর্থ সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে সেটা বাস্তবায়নের জন্য যে আমার প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা দরকার সেটা আমার কাছে আছে কি না; সেটা যদি না থাকে তাহলে তখন এটাকে উচ্চাভিলাষী বলা যেতে পারে এবং আমি মনে করি এই দৃষ্টিকোণ থেকে বাজেটটা উচ্চাভিলাষী।’
এক লাফে লক্ষ্যমাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক লাখ ৩৫ থেকে আমি এক লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকার টার্গেটে যাচ্ছি। অ্যানালাইসিস করে দেখেছি, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো বছর ৩০ পারসেন্ট গ্রোথ হয় নাই। তো হঠাৎ করে আমার এমন কী বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে দেশে যে, আমি এইটা ৩০ পারসেন্টে নিয়ে যেতে পারব?’
প্রস্তাবিত বাজেট আরো বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বাস্তবায়নের দিকটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং ওইদিক থেকে দেখতে গেলে বাজেটটা আরেকটু বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত ছিল। কারণ আমাদের ক্যাপাসিটি হঠাৎ করে রাতারাতি বাড়বে না এক বছরের মধ্যে।’
প্রবৃদ্ধির হারকে বাড়াতে ব্যক্তি খাতকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এখন চ্যালেঞ্জটা হলো, এই প্রবৃদ্ধির হারটাকে রাখা, বাড়ানো এবং এ ক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টরকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাপারে আমি তেমন খুব একেবারে বিরাট কিছুকে দেখি নাই যে, প্রাইভেট সেক্টরকে উজ্জীবিত করতে পারবে।’