পাঞ্জাবি ছাড়া অপূর্ণ ঈদ আনন্দ, পীর ইয়ামেনীতে ভিড়
ঈদে সব বয়সী পুরুষের পছন্দের শীর্ষে থাকে বাহারি রঙের পাঞ্জাবি। নতুন পাঞ্জাবির পরে ঈদ আনন্দে ভাসতে চায় তারা। ঈদের সকালে পাঞ্জাবি না পরলে যেন আনন্দটাই অপূর্ণ রয়ে যায়। তাই ঈদকে সামনে রেখে রুচিশীল পাঞ্জাবির পসরা সাজিয়েছে রাজধানীর পীর ইয়ামেনী মার্কেটের দোকানগুলো। ১৫ রমজানে আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সেখানে ক্রেতাও ছিল বেশ। তারা ঘুরে ঘুরে খুঁজছিলেন পছন্দের পাঞ্জাবি। যদিও ক্রেতার আনাগোনা থাকলেও বেচাবিক্রি তেমন ভালো না বলে জানান বিক্রেতার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাঞ্জাবির জন্য নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবারই পছন্দের মার্কেট পীর ইয়ামেনী। এখানে তিনতলা জুড়ে ১১০টির ওপরে পাঞ্জাবির দোকান রয়েছে। নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবারই পছন্দের মার্কেট এটি। তাই সব পেশাজীবীদের কথা মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে পীর ইয়ামেনী মার্কেটের দেশি-বিদেশি পাঞ্জাবি। এখানে স্টোন, পুঁতি, সুতার নকশার কারুকাজসহ সব ধরনের ডিজাইনের পাঞ্জাবি রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে। সুলভমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও জানান, রমজানের শুরুতে ভাল না কাটলেও গত শুক্রবার থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। বিক্রেতাদের হাঁকডাক-কর্মব্যস্ততায় মুখর হয়ে ওঠেছে দোকানগুলো। যদিও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এই বেচাবিক্রি খুবই কম।
কয়েকদিন ধরেই বিক্রি ভাল জানিয়ে বিক্রমপুর পাঞ্জাবি বিতানের বিক্রেতা আরমান বলেন, বরাবারের মতো এবারেও দেশি সুতির পাঞ্জাবি চাহিদা বেশি। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ দোকান খোলার পর থেকে ক্রেতার চাপ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, সকাল থেকে কর্মব্যস্ততায় সময় যাচ্ছে।
কথা হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ফয়সালের সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ছুটির দিন বিধায় সময় নিয়ে মার্কেটে এসেছি। বাবার জন্য পাঞ্জাবি দেখছি।
নিজের ও পরিবারের সদস্যদের পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন চাকুরিজীবী ফরহান রনি। তিনি বলেন, পাঞ্জাবি ছাড়া ঈদের আনন্দ যেন অপূর্ণ থেকে যায়। তাই প্রতিবারের মতো এবারেও এই মার্কেটে এসেছি। কারণ, বাজেটের মধ্যে সবার পাঞ্জাবি এখান থেকে কেনা যায়।
এবারে হালকা রঙের সুতি পাঞ্জাবির দিকেই তরুণদের আগ্রহ বেশি জানিয়ে শরীয়তপুর পাঞ্জাবি বিতানের বিক্রয়কর্মী নূর হোসেন বলেন, ভারি কাজের পাঞ্জাবি চেয়ে হালকা কাজের চাহিদা বেশি। রং হালকা চাচ্ছে। যাতে গরমে আরাম পায়। আরও বলেন, শুরুতে বিক্রি কম থাকলেও সময়ে পালাক্রমে বিক্রি বেড়েছে। কয়েকদিন ধরে বিক্রি ভাল হচ্ছে।
নতুন নতুন বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবির কালেকশন রয়েছে জানিয়ে জারা ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী বলেন, ক্রেতাদের আনাগোন বাড়ছে। বিক্রি হচ্ছে। তবে আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় কম। পাঞ্জাবি কম দামে পাওয়ার যায় জানিয়ে কিনতে আসা মুরাদ শেখ বলেন, একটি পাঞ্জাবি কিনেছি। দাম বাজেটের মধ্যেই পেয়েছি। এখন ছোট ভাই ও আমার জন্য দেখছি। পছন্দও হচ্ছে।
মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পাঞ্জাবির কাপড়ের মধ্যে রয়েছে মটকা, সুতি, সিল্ক, আদি, তসর, ধুতি সহ বিদেশি বিচিত্র সব পাঞ্জাবি। মার্কেটে বেশিরভাগ ভারতীয় ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি। দাম সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার পাঞ্জাবি মিলছে এখানে। এর বেশি দামেও মিলছে পাঞ্জাবি।