ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা প্রতারিত হয়েছেন : ঢাবি উপাচার্য
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা প্রতারিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটর অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রহিম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা প্রতারিত হয়েছন। তখন ইসরায়েল স্বীকৃতি পেলেও ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পায়নি। দ্বিতীয়বার প্রতারণার স্বীকার হয়েছে ১৯৬৭ সালে। আর এই প্রতিটি ঘটনায় ফিলিস্তিনিরা ভূমি ও নিরীহ মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। সে কারণেই বলা হয় ইসরায়েলি ‘অকুপেশন।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম মাকসুদ কামাল বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার কারণে ইতোমধ্যে ইসরায়েল একটি শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ইসরায়েলের পক্ষ সাফাই গাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এর পক্ষ নিয়েছে, তাদের সবার প্রতি নিদা জানাচ্ছি। এটি কোনো ধর্মের বিষয় নয়, এটি মানবতার বিষয়। সবাইকে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ বলন, ইসরায়েল নিঃসন্দেহে মানবতাবিরাধী অপরাধে অপরাধী। তারা আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। পৃথিবীর কোনো আইনই তাদের পক্ষে কথা বলবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সবসময় নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের হয়ে কথা বলবে। এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের হাতে ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ কর’, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংসতা, বিশ্ব বিবেক ঘুমিয়ে কেন?’, ‘ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ কর’ প্রভৃতি প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।