নির্বাচনের পরে গ্রহণযোগ্যতার বিষয় দেখবেন সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি নির্বাচনের পরে দেখা যাবে।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাপান অবজারভেশন টিম পাঠাবে। তাদের কিছু সদস্য আসবেন জাপান থেকে আর বাংলাদেশে জাপান অ্যাম্বাসির স্টাফরাও অবজারভার হিসেবে কাজ করবেন। ওরা আমাদের নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেজন্য ওরা অবজার্ভ করতে চাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে থ্যাঙ্কস দিয়েছি। তারা আরও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অস্বস্তি বা স্বস্তি কোনটিই আমার মধ্যে নেই। আমার দায়িত্বটা হচ্ছে আমাদের নির্বাচনটা যেভাবে করতে হয়, আমরা নির্বাচন কমিশন সরকারের সহায়তা নিয়ে অর্থাৎ পুলিশ, প্রশাসন সকলের সহায়তা নিয়ে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত স্বস্তি, অস্বস্তিটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এটা ঠিক যে, নির্বাচনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল তারা পার্টিসিপেট করছে না। পার্টিসিপেট করলে ভালো হতো। আপনারা জানেন যে আমরা প্রথম থেকেই তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছিলাম যে আপনারা অংশগ্রহণ করুন, আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা সাড়া দেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেটা আগে বলেছি- অংশগ্রহণ করলে নির্বাচনটা আরও অনেক বেশি ইনক্লুসিভ ও পার্টিসিপেটরি হবে। অংশগ্রহণ নিলে ভালো হতো এটা সকলেই ফিল করে।
গ্রহণযোগ্যতার জন্য এটি সমস্যা হবে কি না জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি নির্বাচনের পরে দেখা যাবে।
সিইসি বলেন, বারবার একটি শব্দ শুনি চাপ চাপ চাপ। যেটা হলো সব দেশ আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমাদের ডোনার কান্ট্রিজগুলো দেখতে চাচ্ছে নির্বাচন। সেটাকে চাপ বলেন বা এটা সেন্সেটাইজেশন বলেন, ওরা যে সমস্ত দৌঁড়ঝাপগুলো করছে আমরা দেখেছি এবং যার ফলে সরকারও বারবার বলেছে যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হবে। আমাদের তরফ থেকেও আমরা বলেছি যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিতে একজন মেম্বার একং কমিটি অব নেশনসে আমরা সদস্য। আন্তর্জাতিকভাবেও নির্বাচনটা সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক, সকলের কাছে বহির্বিশ্বেও নির্বাচনটা একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাক সেই প্রত্যাশা সকলের মতো আমাদেরও আছে। কিন্তু আমরা আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনটাকে ফ্রি, ফেয়ার এবং পিসফুল এই তিনটা জিনিসের ওপর খুব জোর দিয়েছি।
যারা নির্বাচনে আসছে না তারা তো প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছে? বিষয়টি নজরে আনা হলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা দেখা যাক, আমরা সেজন্য বলেছি তাদের প্রতি সকলেরই আহ্বান প্রতিহত যদি উনারা করতে চান সেটা উনাদের ব্যাপার। পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটিজি। সেটার ব্যাপারে আমরা কোনো বক্তব্য দেব না। আমরা চাইব ইলেকশনটা পিসফুলি হোক।
জাপানের কোনো পরামর্শ ছিল কি না? জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, না, এ ব্যাপারে জাপানের কোনো পরামর্শ ছিল না।