গাড়ি দুর্ঘটনা মামলা
আজ সালমানের ভাগ্য নির্ধারণ
পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত হওয়ার পর থেকে জামিন পেয়েছিলেন সালমান খান। তার মানে তো আর এই নয় যে একেবারে খালাস তিনি। সালমানের আপিলের বিষয়ে আজ মুম্বাইয়ের একটি আদালতে রায় দেওয়া হবে। এনডিটিভির খবরে জানা গেল, এ রায়ের মাধ্যমেই ২০০২ সালের গাড়ি দুর্ঘটনায় সালমানের অপরাধ নিয়ে চূড়ান্ত বিবেচনা হবে।
‘অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যা’র অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে সালমানকে মুম্বাইয়ের একটি নিম্ন আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর বোম্বে হাইকোর্টে সালমান আপিল করলে সেই কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সালমান তাঁর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার উঠিয়ে দেন বান্দ্রার ফুটপাতে ঘুমন্ত পাঁচজন মানুষের শরীরের ওপর। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, এ সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলিউডের এই সুপারস্টার। এ সময় নুরুল্লাহ শরীফ নামের এক ব্যক্তি সেখানেই নিহত হন এবং বাকি চারজন গুরুতর আহত হন। এ অভিযোগ সালমান বরাবরই অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর গাড়ির চালক অশোক সিং।
গত মাসে সংগীতশিল্পী কামাল খানকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করার অনুমতি চাওয়া হয় সালমানের তরফ থেকে। আদালত এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। দুর্ঘটনার রাতে কামাল খান সালমানের সেই গাড়িতেই সওয়ার ছিলেন।
একশর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সালমান, অংশ নিয়েছেন অজস্র টেলিভিশন অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া ১০টি নামী ব্র্যান্ডের প্রচারণায় চুক্তিবদ্ধ তিনি। এ মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে ব্যবসাসফল অভিনেতা হিসেবে গণ্য করা হয় তাঁকে। কিন্তু এতসব কি ধোপে টিকবে আদালতের রায়ে?