সালমানের বিরুদ্ধের সাক্ষীকে পুরো বিশ্বাস করা যায় না!
মামলার এক সাক্ষী আদালতে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন অভিনেতা সালমান খান গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যা ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের ওপর উঠে যায়। তবে বোম্বে হাইকোর্ট বলছে, ওই সাক্ষ্য ‘সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য নয়’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ বুধবার বোম্বের হাইকোর্ট এ কথা জানায়। মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো ও পরে গাড়িচাপায় মানুষ হত্যার অভিযোগে সালমান খানের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি খুব দ্রুতই শুরু করবেন বোম্বে হাইকোর্ট। ওই মামলায় নিম্ন আদালত সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এরপরই বোম্বে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।
হাইকোর্ট সালমানের দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাতিলের সাক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রবীন্দ্র পাতিল কোর্টকে জানান, সালমান মাতাল হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সাবধান করার পরেও তিনি তা শোনেননি।
তবে আদালত বলছেন, ‘যদি এই সাক্ষী আংশিকভাবেও বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে আরো সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রয়োজন। রবীন্দ্র পাতিলকে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য সাক্ষী হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।’
এ ব্যাপারে আদালত সংগীতশিল্পী কমল খানের সাক্ষ্য চেয়েছেন। কমল খান সেদিন সালমানের গাড়িতে ছিলেন।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুসার মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা পাঁচজন মানুষকে চাপা দেয়। নুরুল্লাহ শরিফ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন আর বাকি চারজন ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন। ওই গাড়িতেই ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান।