‘শহিদের বাড়ি গিয়েছিলাম বলেই প্রেম হয়ে গেল!’
বলিউড তারকারা সরাসরি কথা খুব কমই বলেন। তাঁদের নিয়ে যেসব ঘটনা-রটনা-কল্পনা চলে মিডিয়ায়, সে বিষয়েও বজায় রাখেন সাবধানতা। তবে বি টাউনে উড়ে আসা সুপারমডেল তথা অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি এসবের ধার তেমন একটা ধারেন না। উদয় চোপড়া এবং শহিদ কাপুরের সঙ্গে তাঁর ‘প্রেম’ নিয়ে হয়েছে বহু আলোচনা। এনডিটিভির মুখোমুখি হয়ে স্পষ্টভাবে সব কথার জবাব দিয়েছেন ‘আজহার’ ছবিতে সঙ্গীতা বিজলানির চরিত্রে অভিনয় করা এই তারকা।
প্রশ্ন : ‘রকস্টার’, ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ বা ‘ম্যায় তেরা হিরো’ তে আপনার অভিনয় তেমন একটা প্রশংসিত হয়নি। এরপর কি নতুন কোনো ছবি বা রোল পাওয়া কঠিন হচ্ছিল?
নার্গিস : আসলে আমি অনেক প্রস্তাব পেয়েছি কিন্তু সেগুলো ভালো লাগছিল না। এ ব্যাপারে আমার এজেন্সিকেও বেশ খানিকটা বোঝাতে হয়েছে যে আমি গল্প বুঝে ছবি করব। তারা নির্মাণ সংস্থার গুরুত্ব নিয়ে মাথা ঘামালেও আমি পরোয়া করিনি। বিরাট মাপের কেউ ছবি বানাবে আর তাই সেটায় চোখবুজে রাজি হয়ে যাব, এমন মানুষ আমি নই। কেবল গল্প ভালো হলেই আমি ছবিতে সাইন করব।
প্রশ্ন : প্রায় পাঁচ বছর বলিউডে কাটিয়েছেন। এখনো কিন্তু অনেক তরুণ কিংবা আপনার চেয়ে সিনিয়র কোনো শিল্পীর সঙ্গে আপনাকে তুলনা করা হয় না। আপনার কি মনে হয় ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা গড়ে উঠেছে বা আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ আছেন?
নার্গিস : একদম না। আমার তো নিজেকে ভিনগ্রহের অধিবাসীর মতো লাগে! তবে আমি যা করছি তা নিয়ে খুশি। আমার পেছনে কেউ নেই, কাজেই আমাকে সাহায্য করুন, হা হা!
প্রশ্ন : তারকাদের সন্তানরা সুবিধা পায়, এটা কেমন লাগে?
নার্গিস : এটা তাদের জন্য ভালো।
প্রশ্ন : আপনি কি বন্ধুত্ব তৈরির ব্যাপারে মনোযোগী? জানেন তো, ভালো রোল পাওয়ার জন্য এখানে এটি বিশাল ব্যাপার।
নার্গিস : হ্যাঁ, আমি জানি। তবে আমার ব্যক্তিত্ব তেমন নয়। আমি অনেক পার্টির জন্য আমন্ত্রণ পাই কিন্তু সেখানে যাই না। আমাকে অনেকেই বলেন যে এটা নাকি আমার কাজেরই একটা অংশ, কিন্তু আমার এমনটা ভালো লাগে না। আমাকে এ কথাও বলা হয়েছে যে, এ বিষয়টা অনেক নির্মাতাই নেতিবাচকভাবে নিতে পারেন, তবে আমি নিজের মতো থাকতে এবং নিজের মতো কাজ করতে ভালোবাসি। পার্টিতে না গিয়ে আমি বরং বাসায় ঘুমাব! আমি জানি যে এটা কারো কারো খারাপ লাগতে পারে।
প্রশ্ন : আপনি নাকি ‘আজহার’ ছবির সেটে বিচিত্র আচরণ করেছেন?
নার্গিস : মানে কী? সত্যি বলছি, আমি সময়মতো সেটে গিয়েছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি, সহকর্মীদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলেছি, কাজ শেষ করেছি এবং বাসায় ফিরেছি। মানুষজন এভাবে বানোয়াট কথা ছড়ালে খুব কষ্ট হয়।
প্রশ্ন : নিজেকে দশের মধ্যে কত দেবেন?
নার্গিস : এটা পারব না। আমি এখানে পাঁচ বছর কাটিয়েছি এবং এখনো কাজ পাচ্ছি। তার মানে আমি নিশ্চয়ই কাজ পাওয়ার মতো কাজই করছি।
প্রশ্ন : অভিনয় কী আপনার প্যাশন, নাকি ব্যাপারটা হঠাৎ করেই হয়ে গেছে?
নার্গিস : হঠাৎ করে। আমি আসলে মডেল হওয়ার কথাও কখনো ভাবিনি। মডেলিং করেছি কারণ আমি অনেক উপার্জন আর ভ্রমণ করার বিষয়ে আগ্রহী ছিলাম। আমি আর্টস আর থেরাপি নিয়ে পড়ালেখা করেছি। অভিনয়শিল্পী না হলে আমি আসলে শিশুদের চিকিৎসার কাজটাই সানন্দে করতাম।
প্রশ্ন : আপনি গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকলেও আপনি ব্যক্তিগত জীবনটা নিজের মধ্যে রাখার কৌশল ভালোভাবে রপ্ত করেছেন।
নার্গিস : এটা একেবারেই ভুল কথা। কোনো বয়ফ্রেন্ডের হিসেব এলে আমি খুবই হিসেবী, চুজি। এখন আমার এ রকম কেউ নেই যাকে নিয়ে কথা বলব। আমাকে উদয় চোপড়ার সঙ্গে জড়িয়ে কথা হয়েছে, কারণ আমি তার সঙ্গে কফি খেয়েছিলাম। আবার শহিদের বাড়ি গিয়েছিলাম বলেই প্রেম হয়ে গেল! এ রকম বলা আর কাহিনী ছড়ানো একেবারেই অনুচিত। কাজ ছেড়ে দেওয়ার পরই আসলে আমি মনের মতো কাউকে খুঁজে পাব, আর আমার সম্পর্ক নিয়ে আমি একেবারেই খোলাখুলি সবাইকে জানাব।
প্রশ্ন : অভিনয় ছাড়া আর কোনোকিছুর প্রতি আগ্রহ রয়েছে?
নার্গিস : আমি লিখব। তবে এর জন্য আমার সময় দরকার।