মুম্বাই আদালতে সালমান যা বললেন
প্রসঙ্গটা পুরোনো কিন্তু এখনো মীমাংসা হয়নি। তাই আজকেও সালমান খানকে আদালতে যেতে হয়েছে। নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে এসেছেন তিনি। সেই একই কথা, তিনি মোটেও মদ্যপ ছিলেন না এবং গাড়িটিও তিনি চালাচ্ছিলেন না দুর্ঘটনার সময়।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের ওপর উঠে গিয়েছিল সালমানের দ্রুতগতির টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা একজন, আহত হন আরো চারজন।
তবে বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ৪৯ বছর বয়সী এই মেগাস্টার। শুক্রবার আদালতে হাজির হয়ে সালমান জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে থাকলেও গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তাঁর ড্রাইভার অশোক সিং। এ ছাড়া সে সময় গাড়িতে ছিলেন সালমানের বডিগার্ড রবীন্দ্র পাতিল।
গাড়িতে থাকলেও কেন আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যাননি আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান জানান, তাঁর গাড়ির দরজা জ্যাম হয়ে গিয়েছিল, তাই চেষ্টা করলেও তিনি বের হতে পারেননি।
দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে গিয়েছিলেন সালমান- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সালমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় সেখানে ছিলাম আমি। ড্রাইভারকে বলেছিলাম পুলিশকে ফোন দিয়ে জানাতে।’
তবে সালমান যে বার থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠেছিলেন, সেখানকার পার্কিং সহযোগী আদালতে জানিয়েছিলেন, বার থেকে বের হওয়ার পর সালমানের হাতেই গাড়ির চাবি দিয়েছিলেন তিনি এবং বার থেকে সালমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে বের হয়েছিলেন।
এর জবাবে সালমান আদালতকে বলেন, পার্কিং সহযোগীর কথা তিনি ভুলে গিয়েছেন। ভাই সোহেল খানের সাথে বারে ছিলেন তিনি। বার থেকে গাড়ি চালিয়ে বের হলেও কিছুক্ষণ পর ড্রাইভার অশোক সিংকে গাড়ি চালাতে বলেন তিনি।
আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষী দিয়েছেন, বার থেকে বের হওয়ার সময় সালমান অতিরিক্ত মদ্যপ ছিলেন এবং দুবার চেষ্টা করেও তিনি সে সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। এর জবাবে সালমান আদালতে বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা।’
আদালত প্রশ্ন করেন, বারে যে বিল তিনি দিয়েছিলেন তাতে মদের দামও পরিশোধ করেছেন। মদসহ অন্যান্য খাবারের বিল দিলেও সালমানের দাবি তিনি শুধু এক গ্লাস পানি খেয়েছিলেন সেখানে।
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সালমানের।