নারীর ক্ষমতায়নে দীপিকার ‘মাই চয়েস’
জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৯৯ জন যদি এক জায়গায় হয়ে শক্তিশালী কোনো বার্তা দেন, কেমন হবে ব্যাপারটা? আর এই ৯৯ জনের একজন যদি হন বলিউডের সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোন, তাহলে? ‘ভোগ ইন্ডিয়া’র একটি বিশেষ উদ্যোগ #ভোগ এমপাওয়ার ব্যানারে প্রকাশিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি নারী অধিকারের বিষয়ে স্পষ্ট সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নির্মিত। ভোগ ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেল, ‘মাই চয়েস’ নামের এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নারী পছন্দ করার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
দুই মিনিট ৩৫ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটির মূল উদ্যোক্তা দীপিকা পাড়ুকোন ও পরিচালক হোমি আদাজানিয়া। প্রযোজনার ভূমিকা পালন করেছেন জেএসডব্লিউ ও সংগীতা জিন্দাল। ছবির কাহিনী লিখেছেন কের্সি খামবাতা, চিত্রগ্রহণের কাজটি করেছেন তাসাদ্দুক হাসান।
দীপিকার পাশাপাশি এই ছবিতে একের পর এক মুখ দেখা গেছে নিম্রত কাউর, অধুনা আখতার, অনুপমা চোপড়া, শেরজাদ শ্রফদের। এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ও বিভিন্ন স্তরের মোট ৯৯ জন নারীর একের পর এক পাল্টাপাল্টি স্ন্যাপশটের মতো আবির্ভাব এবং বিভিন্ন বক্তব্যের গাঁথুনিতে গড়ে উঠেছে ছবিটি। প্রশ্ন হতে পারে, কেন ৯৯ জন নারী, কেন ১০০ জন নয়? ‘আমার চিন্তা ছিল ১০০ জন নারী নিয়েই এ ছবিটা করব। কিন্তু বিধাতা আমাকে জানালেন, শেষ একজন নারী এখন অনেক ব্যস্ত’- এমনই বুদ্ধিদীপ্ত জবাব হোমি আদাজানিয়ার। অনাগত নারীসন্তানদের বিষয়টিও প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যায়নের মাধ্যমে করা হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
‘আমাদের পরিবারে বাবাই একমাত্র পুরুষ। তবে আমাদের সবারই নিজের কথা বলার সুযোগ রয়েছে’- নিজের পরিবারের কথা এভাবেই বলেন এ ছবির অন্যতম উদ্যোক্তা দীপিকা। ‘যখন যা করতে ইচ্ছা হয়েছে, সবই করার অনুমতি পেয়েছি আমি। যখন আপনি কোনো খাঁচায় আটকে থাকবেন না আর অযাচিত প্রত্যাশার ভার আপনার ওপর চেপে থাকবেন না, তখনই আসলে আপনি ক্ষমতায়নের অনুভূতি লাভ করতে পারবেন।’
‘ভোগ ইন্ডিয়া’র সপ্তম বার্ষিকীতে ভোগ এমপাওয়ার উদ্যোগটির উদ্বোধন করা হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র বা পরিস্থিতির সাপেক্ষে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এর মূল বার্তাটি খুবই সরল এবং স্পষ্ট-‘আপনাকে দিয়েই শুরু’ (ইট স্টার্টস উইথ ইউ)।