বিরিয়ানির স্বাদ আনতে ৫ ভুল এড়িয়ে চলুন
অনেকে বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন। ঢাকার প্রায় প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে এখন শুধুই বিরিয়ানির দোকান। কারও বিরিয়ানিতে মাংসের আকারটা বড়, কেউ আবার বসে খেলে যত খুশি বিরিয়ানির রাইস খাওয়ার অফার দিচ্ছেন! রাজধানী জুড়ে রমরমিয়ে চলছে বিরিয়ানির ব্যবসা। অনেকে আবার বাড়িতেই তৈরি করেন চিকেন কিংবা মাটন বিরিয়ানি। তবে বাড়িতে বিরিয়ানি তৈরি করলেও দোকানের মতো স্বাদ আর গন্ধ আসে না? তাই জেনে নিন বাড়িতেই দোকানের মতো বিরিয়ানি তৈরি করা কিছু সহজ টিপস।
পুরনো মসলার ব্যবহার নয়
বিরিয়ানি তৈরির সময় বাজার থেকে কেনা প্যাকেটের মসলা ব্যবহার করলে কিন্তু কখনোই দোকানের মতো স্বাদ আসবে না। বাড়িতেই গোটা মসলা পিষে নিয়ে টাটকা মসলা বানিয়ে নিন। লবঙ্গ, ছোট এলাচ, শাজিরে, শামরিচ, জায়ফল, জয়িত্রী, বড় এলাচ, কাবাব চিনি পরিমাণমতো নিয়ে শুকনো তাওয়ায় ভেজে বেটে নিন। এবার টাটকা মসলা ব্যবহার করুন রান্নায়।
ঘি, তেল, চর্বির সঙ্গে আপস নয়
ঘিয়ের পরিমাণ ঠিকঠাক না হলে বিরিয়ানি খুব বেশি শুকনো হয়ে যায়। খেতে মোটেই ভাল লাগে না। তাই পরিমাণ মতো ঘি ব্যবহার করুন। মুরগি হোক কিংবা খাশির মাংস, বিরিয়ানি রান্নার সময় একটু চর্বিযুক্ত মাংস ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়ে।
চালের দিকে বাড়তি নজর
বিরিয়ানির ভাত ঝরঝরে না হলে খেতে মোটেই ভাল লাগে না। এজন্য রান্না শুরুর ৩০ মিনিট আগে চাল ভিজিয়ে রাখুন, তবে তার বেশি নয়। চাল ফোটানোর সময় ভিনেগার আর লবণ দিয়ে ফোটাবেন, তা হলেই ভাত সাদা, ঝরঝরে হবে। দম বিরিয়ানির ক্ষেত্রে চাল পুরোপুরি সেদ্ধ করবেন না, ৮০ শতাংশ সেদ্ধ করুন প্রথমে। বাকিটা দমেই হয়ে যাবে।
সঠিক পাত্রের বাছাই জরুরি
বিরিয়ানি দম দেওয়ার সময় সঠিক পাত্র বাছাই করা জরুরি। পাত্রের তলাটা যেন পুরু হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা না হলে বিরিয়ানি পুড়ে যেতে পারে। খুব ভাল হয়, যদি নীচে একটি তাওয়া রেখে তার উপর পাত্রটি বসানো হয়। তাহলে সরাসরি পাত্রের গায়ে আঁচ লাগবে না।
দইয়ের ব্যবহারে সতর্ক
মাংস রান্নার আগে অবশ্যই দই দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। তবেই নরম, তুলতুলে হবে মাংস। এ ছাড়া গ্রেভিতে দই ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়ে।