পঞ্চাশে পরিণত সালমান
আজ ৫০ বছরে পা রাখলেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান। পুরো নাম আবদুল রশিদ সালিম সালমান খান। সময়ের সঙ্গে ব্যক্তি সালমান কতটা বদলেছেন? জীবনে কম ঝড়-ঝাপ্টা পার করেননি তিনি। ১৩ বছর ধরে আদালতের চৌকাঠে যাওয়া-আসা করেছেন মানুষ হত্যার অভিযোগে। নির্দোষ হিসেবে মুক্তি পেয়েছেন এ বছর।
পঞ্চাশে পা রেখে তাই অনেকটাই সুস্থির সালমান। কারণ, পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায় এক অস্থির, রগচটা যুবককে; যে সব সময় নিজের মতোই চলেছে। কাউকে কখনো তোয়াক্কা করেনি। সর্বশেষ যখন সালমানকে নির্দোষ হিসেবে রায় দেয় আদালত, তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি ছিলেন ভাবলেশহীন।
২০০৪ থেকে ২০০৮—টানা চার বছর সালমানের কোনো হিট ছবি ছিল না। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবেন না সালমান। কিন্তু রগচটা সালমান ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন।
মদ খেয়ে মাতলামি করা, সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা বা ক্লাবে মারামারি করার ঘটনা অনেকবার ঘটিয়েছেন সালমান। নেতিবাচক কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন একাধিকবার। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেম এবং বিচ্ছেদ নিয়েও কম ঘটনার জন্ম দেননি। বারবারই নতুন প্রেমে জড়িয়েছেন এবং দুদিন পর আবার তা ভেঙেও দিয়েছেন।
কিন্তু সালমানের ভক্তরা কখনো ছেড়ে যাননি তাঁকে। এটাই হয়তো অভিনেতা হিসেবে সালমানের বড় পাওয়া। তাই ৫০ বছর বয়সেও বক্স-অফিসে রাজত্ব করে চলেছেন সালমান। পাঁচ বছর ধরে সালমানের কোনো ব্যর্থতা নেই, যা করেছেন তাই দিয়েই রেকর্ড গড়েছেন।
২০০৯ সালে ‘ওয়ান্টেড’ ছবির মাধ্যমে ফিরে আসেন সালমান। ২০১০ সালে ‘দাবাং’ ছবিতে চুলবুল পান্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান। ছবিটি ব্লকবাস্টার ব্যবসা করে। পরের বছর ‘বডিগার্ড’ও বক্স-অফিসে ঝড় তোলে। এই বছরের আরেকটি ব্লকবাস্টার ছবি ছিল ‘রেডি’।
২০১২ সালে ‘দাবাং-২’ এবং ‘এক থা টাইগার’ নিয়ে হাজির হন সালমান। ফলাফল একই, ব্লকবাস্টার।
২০১৩ সালে বিরতি নিয়ে ২০১৪-তে ফিরে আসেন ব্লকবাস্টার ‘কিক’ নিয়ে। তবে একই বছর মুক্তি পাওয়া ‘জয় হো’ ছবিটি খুব একটা ভালো করতে পারেনি।
আর এ বছর তো সালমানের জয়জয়কার। মাত্র দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ও ‘প্রেম রতন ধান পায়ো’। দুই ছবি মিলে আয় হয়েছে ৫০০ কোটি রুপি। তাই পঞ্চাশে পা রাখলেও সালমানের বাজারদর আগের চেয়ে অনেক চড়া।