কুমিল্লাকে অপেক্ষায় রেখে ফাইনালে সাকিবের বরিশাল
জিতলেই সরাসরি বিপিএলের ফাইনাল, হারলে থাকতে হবে অপেক্ষায়—এমন সমীকরণের ম্যাচে নিজেদের অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘায়িত হতে দিল না ফরচুন বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জয় নিয়ে চলমান বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের দল।
আজ সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ১০ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। অবশ্য হারলেও এখনও আশা শেষ হয়ে যায়নি কুমিল্লার। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে সাত রানে হারিয়ে বিপিএলের কোয়ালিফায়ার রাউন্ড নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগামী বুধবার এই চট্টগ্রামের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাবে কুমিল্লা। ওই ম্যাচে জিততে পারলেই ফাইনালের টিকেট পাবে ইমরুল কায়েসের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে বরিশাল। বরাবরের মতোই ইনিংসের শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট করেন মুনিম। তাঁর সঙ্গে কিছুটা সময় টিকে ছিলেন গেইলও। দুই ওপেনারে চড়ে শুরুর জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৫৮ রান তোলে বরিশাল।
৬.২ ওভারে এই জুটি ভাঙেন কুমিল্লার পেসার শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ২২ রান করা ক্যারিবীয় তারকা গেইলকে বিদায় করেন তিনি। এরপর ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার মুনিম।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে কিছুটা হতাশা দেখে সাকিব আল হাসানের দল। অধিনায়ক নিজেও করেন এক রান। ব্যর্থ হন নাজমুল-জিয়াউররা। ফলে শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রান নিয়ে ইনিংস শেষ করে বরিশাল।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে উইকেট শূন্য ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। শহীদুল নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। মঈন আলীর শিকার দুটি উইকেট।
১৪৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আশা জাগিয়েও পারল না কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ১৩৩ রানে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন লিটন দাস। ৩৫ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি। ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২২ রান করেন মঈন আলী। এ ছাড়া ডু প্লেসির ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ২০ রান আসে মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে।
ফরচুন বরিশালের হয়ে বল হাতে সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা, শফিকুল ইসলাম ও মুজিব। টানা ৫ ম্যাচে ব্যাটে-বলে আলো ছড়ানো সাকিব আজ দুই বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাট হাতে এক রান করা সাকিব বোলিংয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।