টিকেট নিয়ে হাহাকার, ২০০ টাকার টিকেটের মূল্য ১২০০
করোনার মহামারিতে দর্শক ছাড়াই গত ২২ জানুয়ারি মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর। গত এক মাস ধরে চলতে থাকা টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে আজ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আজ মুখোমুখি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল।
বিপিএলের ফাইনালকে ঘিরে উত্তেজনার কমতি নেই ভক্তদের মনে। সেই জন্য ভক্তদের খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে কিছু সংখ্যক টিকেট ছেড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তাঁর সংখ্যাটা খুব কম। করোনার কারণে মাত্র ৪ হাজার টিকেট ছেড়েছে ক্রিকেট বোর্ড। তাই এই টিকেটই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে সোনার হরিণ।
ফাইনাল ম্যাচটি মাঠে বসে দেখার জন্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ফটকগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টা থেকেই শেরেবাংলায় টিকেটের সংগ্রহের অপেক্ষায় ভক্তরা। কিন্তু টিকেট নিয়ে হাহাকার। কিছুতেই মিলছে না ফাইনাল ম্যাচের টিকেট।
যারা পাচ্ছেন তারাও নিচ্ছেন চড়া দামে। টিকেট কালো বাজারিতে ২০০ টাকার টিকেট বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। আহসান নামের কুমিল্লার এক ভক্ত বলেন, ‘আমরা তিনজন এসেছি। দুজনের টিকেট পেয়েছি। ২০০ টাকার দুটি টিকেট ২৪০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। কিন্তু আরেকটি মেলাতে পারিনি। বেশি টাকা দিয়েও টিকেট পাচ্ছি না।’
আফসানা নামের এক নারী ভক্ত জানালেন, দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অবশেষে ব্ল্যাক থেকে টিকেট কিনতে পেরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সেই দুপুর থেকে টিকেটের জন্য চেষ্টা করেছি। অবশেষে পেয়েছি। তবে অনেক দাম দিতে হয়েছে। তবুও যে পেয়েছি তাই অনেক। প্রিয় দলের খেলা দেখতে পারব এতেই আনন্দ।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে সাপোর্ট দিতে আসা আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করে টিকেট কিনতে পেরেছি। প্রিয় দলের খেলা দেখব ভেবে খুব ভালো লাগছে।’
টিকেট না পেয়ে হতাশ হওয়া একজন বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও টিকেট কিনতে পারলাম না। যা পেলাম ২-৩ হাজার বলে। এত টাকায় আসলে টিকেট কেনার সামর্থ্য নেই। তাই খেলা না দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে। আমরা বরিশালকে সাপোর্ট দিতে এসেছিলাম।’