পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ঋণগ্রহীতা ৬৩ জনকে তলব
পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ঋণগ্রহীতা ৬৩ জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাদেরকে আগামী ১১ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে নাহার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।
গত বছরের ২১ জুন প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারি হাইকোর্টে আবেদন জানান। সে আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৮ জুন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে (পিএলএফএসএল) পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
ওইদিন আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠিত বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত দশ সদস্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়াও সরকারের সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌস, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) কাজী তাওফিকুল ইসলাম, এফসিএ নুর-ই খোদা আব্দুল মবিন ও মাওলা মোহাম্মাদ, প্রতিষ্ঠানটির সঞ্চয়কারীদের প্রতিনিধি ডা. নাশিদ কামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুরুল কবির এবং আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জালালুদ্দিনকে বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত করেন আদালত।