সাভারে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় চুরির অপবাদে হযরত আলী (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় একটি ঝুটের গুদামের মালিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। নিহত আলী ওই ঝুটগুদামে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
গতকাল তাঁর লাশ নাটোরের বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার আগে গাজীপুর থেকে হযরত আলীকে কাশিমপুর থেকে এনে আশুলিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার।
নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার জানান, তাঁর স্বামী গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় মিজানুর রহমানের ঝুটের গুদামে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। গত রোববার (২০ মার্চ) রাতে মিজান চুরির অপবাদ দেন মিজান। ওই অপবাদে হযরত আলীকে কাশিমপুর থেকে ধরে নিয়ে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় একটি ছয় তলা ভবনে আটকে রেখে মারধর করেন।
এ খবর শুনে রুমানা প্রথমে কাশিমপুর থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান। কাশিমপুর থানা থেকে তাঁকে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়।
রুমানা আক্তারর অভিযোগ, আশুলিয়া থানায় তাঁর করা মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একজন এসআই জাহাঙ্গীর আলম খোঁজ নিতে যান। কিন্তু, সেখানে বিবাদী মিজানুরের কথায় ওই এসআই নিহতের স্ত্রী রুমানাকে গালাগাল করেন এবং বলেন, ‘তুমি টাকা নেওয়ার জন্য ফন্দি করেছ। বাড়িতে গিয়ে খুঁজে দেখ।’
এ বিষয়ে নাটোর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘জেলার বড়াইগ্রাম এলাকা দিয়ে সচিবালয়ের স্টিকার লাগানো বিলাসবহুল একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৪০৫৮৭) দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। পরে সন্দেহ হলে আমরা সেটিতে তল্লাশি করি। এরপর গাড়ির পেছন থেকে বস্তাবন্দি হযরত আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ পাই। তাৎক্ষণিক ওই জিপ ও চালক মিজানুর রহমানকে আটক করে থানায় আনা হয়।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত আলীর লাশ গাজীপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মিজানসহ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।