গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ফাঁসি হওয়া পারভীন বেগম শায়লার (৩৮) মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে এসেছে। 

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৩ এপ্রিল পারভীন বেগম শায়লার ডেথ রেফারেন্স গাইবান্ধার আদালত থেকে হাইকোর্টে এসেছে। এখন নিয়মানুযায়ী ডেথ রেফারেন্স শাখা মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করবে।

গত ৩১ মার্চ গাইবান্ধায় মাদক মামলায় পারভীন বেগম শায়লার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে খালাস দেন আদালত।

মামলা থেকে খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বিপুল মিয়া, রমজান আলী, সাজু মিয়া ও সোহাগ হাসান। তাদের সবার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারভীন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত মছির উদ্দিনের স্ত্রী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী পায়না পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসে গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় বাসটিতে থাকা পারভিন বেগমের হাতব্যাগ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পারভীনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।