মিয়াঁদাদের সেই ছক্কার কথা মনে পড়ে গেল বাবরের
পাকিস্তানের হয়ে চেতন শর্মার বলে জাভেদ মিয়াঁদাদ যখন শেষ বলে ছক্কা মেরেছিলেন, তখন বাবর আজমের জন্মও হয়নি। তবুও নাসিম শাহ যখন আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকিকে দুটি দুর্দান্ত ছক্কা হাঁকিয়ে এক উইকেটের থ্রিলারে পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের ফাইনালে তোলেন, তখন ৩৬ বছর আগের মিয়াঁদাদের জাদুর কথা মনে পড়ে যায় তাঁর।
ম্যাচ-পরবর্তী অনুষ্ঠানে বাবর বলেছিলেন, ‘আমি নাসিমকে এমন ব্যাট করতে দেখেছি, তাই আমার কিছুটা বিশ্বাস ছিল সে পারবে। এটি আমাকে শারজাহতে জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই ছক্কার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’
রবি শাস্ত্রী ম্যাচ-পরবর্তী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সেদিন আমিও ছিলাম, আমাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তান প্রথমে তিন উইকেটে ৮৭ রান করেছিল। এর পরই ৩১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় তারা। নাসিম ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন, ১১ নম্বর ব্যাটার ছিলেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ এক জয় এনে দেন নাসিম। তাই পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে যায়।
শেষ দিকে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১০ বলে ২০ রান। তখন আসিফ আলীর উইকেট হারিয়ে বসলে সমীকরণ কিছুটা বদলে যায়। মাত্র ১০ দিন আগে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া নাসিম তখনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রান করতে পারেননি। সে মাঠে নেমে দলকে জয় এনে দেন।
ম্যাচ শেষে ওয়াসিম আকরাম উত্তেজনায় ধরে রাখতে পারেননি, নাসিমকে উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেন।
শাদাব খান গুরুত্বপূর্ণ ২৬ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, ‘ওই ছক্কা সবসময় মনে থাকবে। আমাদের বোলারদেরও ব্যাট করার ক্ষমতা আছে।’
১১ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে।
১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল জাভেদ মিয়াঁদাদ শারজাহতে এশিয়া কাপের ফাইনালে চেতন শর্মার বলে শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতের হৃদয় ভেঙে দেন। ম্যাচ জিততে শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। মিয়াঁদাদ ছক্কা মেরে তাঁর দলকে এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে সাহায্য করেন।