মুদ্রার দুই পিঠই দেখল পাকিস্তান
এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আজ রোববার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল মহারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং নেমে শুরুটা দারুণ করে বাবর আজমের দল। মাত্র ৫৮ রানে লঙ্কানদের ৫ উইকেট তুলে নেয় তারা। অনেকটা ম্যাচের নাগালই নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় পাকিস্তান।
কিন্তু সময় গড়াতে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখল পাকিস্তান। চাপ সামলে শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখান রাজাপাকসে। তাঁর ব্যাটিংয়ের সামনে এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে ১৭০ রানের পুঁজি এনে দেন রাজাপাকসে। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন রাজাপাকসে। ৪৫ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর তিনটি ছক্কা।
আগে বোলিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নিয়েছেন নাসিম শাহ। গোল্ডেন ডাকে ফিরেছেন মেন্ডিস। এর পর নিশানকা ও গুনথিলাকার উইকেট তুলে নিয়েছেন হারিস রউফ। দলীয় ৫৮ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে লঙ্কানরা। সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রাজাপাকসে।
গত ২৭ আগস্ট মরুর বুকে শুরু হয় এশিয়া কাপের এবারের আসর। যেখানে ছয়টি দল প্রথমে গ্রুপ হয়ে লড়াই করে, এর পর লড়াই করে লিগ পদ্ধতি। দুই ধাপে লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকেট পায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
দুই ফাইনালিস্ট আজ দুবাইতে মুখোমুখি শিরোপার জন্য। এই লড়াইয়ে জয়ী দলের মাথাতেই উঠবে এই অঞ্চলের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠাত্বের মুকুট।
এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে মুখোমুখি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সেবারের দেখায় পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে শ্রীলঙ্কা।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টা আগেও দুদল লড়েছে সুপার ফোরের নিয়মরক্ষার ম্যাচে। সেখানেও জয় পায় লঙ্কানরা। সবমিলিয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে লঙ্কানদের। সেই আত্মবিশ্বাস ভেঙে পাকিস্তান জয়ের মুকুট পরতে পারে কি না সেটাই দেখার।
যদিও এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অর্জন ততটা সমৃদ্ধ নয়। এই নিয়ে কেবল পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে খেলছে তারা। সেই দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। এটি তাদের দ্বাদশ ফাইনাল। শিরোপা জয়ের দিক দিয়েও এগিয়ে লঙ্কানরা। এই মঞ্চে পাকিস্তান শিরোপা জিতেছে আগে দুবার, অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা জিতেছে পাঁচবার। সবমিলিয়ে ফেভারিট হয়েই মাঠে নামছে দাসুন শানাকার দল।