রিহ্যাব ফেয়ারে ৩৫১ কোটি টাকার বেশি বিক্রি
রিহ্যাব ফেয়ারে ৩৫১ কোটি টাকার বেশি ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংক কমিটমেন্টে এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ রোববার দুপুরে রিহ্যাব ফেয়ারে সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এসব তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মেলা শেষ হয়েছে দুপুর ২টায়। মেলা রাত ৯টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকার কারণে দুপুরেই শেষ হয়ে যায়। তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে মেলা শেষ করা হলেও যে উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা সফল হয়েছে।
সোহেল রানা বলেন, মেলার আসল উদ্দেশ্য ব্র্যান্ডিং করা। এখানে যেসব ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন তারা সবাই ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করবেন। কেউ হয়তো এখন কিনবেন আর কেউ হয়তো সামনের বছরগুলোতে কিনবেন। মেলায় বিনোদনমূলক কিছু নেই। যারা মেলায় টাকা দিয়ে টিকেট কেটে প্রবেশ করেছেন তারা সবাই ক্রেতা। প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা দর্শনার্থীদের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে প্রডাক্ট দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। একসঙ্গে অনেকগুলো ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব।
রিহ্যাব ফেয়ারে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। প্লট ৮০ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে ১৬ হাজার ১৩২ জন।
এ বছর অনেক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল বেশি। কারণ আর দুই দিন পরেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই এলাকার নাগরিকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন, ফলে সেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে।
এবারের মেলায় ফ্ল্যাটের দাম আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, ড্যাপ এ ফার হ্রাসসহ নানা কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে।