জয়ে ফিরতে কুমিল্লার লড়াইয়ের পুঁজি
টুর্নামেন্টের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। প্রথম ম্যাচে হেরে যায় রংপুর রাইডার্সের কাছে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। যারা রীতিমতো উড়ছে জয়ের ছন্দে। সেই সিলেটের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে জাকের আলির দৃঢ়তায় লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে আজ সোমবার ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৯ রান করেছে কুমিল্লা। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা জাকের উপহার দিয়েছেন ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম জয়ের খোঁজে আজ টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা। রৌদ্রোজ্জ্বল শেরেবাংলায় কুমিল্লার ইনিংসে রোদের তাপ কিছুটা কম। কোনোমতে ৬ উইকেটে দেড়শর কাছাকাছি যায় কুমিল্লা।
আজও ওপেনিংয়ে হাসেনি লিটন দাসের ব্যাট। জোড়া চার মেরে শুভ সূচনা করলেও ম্যাচের চতুর্থ বলেই মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন থিসারা পেরেরার বলে। দলীয় ৩৭ রানে আউট হন সৈকত আলি। ১২ বলে ২০ রান করে সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিলেন ভালো কিছু করার। সৈকত আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানো কুমিল্লার ইনিংস মেরামত করেন আরেক ওপেনার ডেভিড মালান। ৩৯ বলে ৩৭ রানের মন্থর ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি।
মালান ধীরগতির ইনিংস খেললেও আরেক প্রান্তে জাকের তুলে নেন অর্ধশতক। স্ট্রাইক রোটেট করে দেখেশুনে খেলেন জাকের। ৪৩ বলে জাকেরের অপরাজিত ৫৭ রানে কুমিল্লা পায় মোটামুটি লড়াই করার পুঁজি। মালান ও জাকের ছাড়া বলার মতো রান করতে পারেনি কেউই। ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন। মোহাম্মদ নবী করেন ৭ বলে ৮ রান। সিলেটের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরা। ইমাদ ওয়াসিম ও মাশরাফী পান এক উইকেট করে। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাতে উইকেট রেখেও কুমিল্লা পারেনি খুব বড় সংগ্রহ গড়তে।
নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বেঁধে দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য সহজেই টপকে যায় সিলেট। টানা দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পায় তারা। দেখার বিষয়, কুমিল্লাকে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে কি না সিলেট। না কি কুমিল্লার বোলাররা এই সংগ্রহকেই যথেষ্ট বানিয়ে ফেলে জয়ের জন্য!
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ২০ ওভারে ১৪৯/৬।
(লিটন ৮, মালান ৩৭, সৈকত ২০, কায়েস ২, মোসাদ্দেক ৫, নবী ৮, জাকের ৫৭*, রনি ৮* ;পেরেরা ৪-০-২৬-২, আমির ৪-০-২২-২, ওয়াসিম ৪-০-২৯-১, মাশরাফী ৪-০-৩৩-১, রেজাউল ৪-০-৩৯-০)।