হৃদয়ের মুগ্ধতায় মাশরাফীদের চারে চার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্স যেন অপ্রতিরোধ্য। শুরু থেকেই জয়ের ছন্দে। আর এই জয়ের ছন্দ ধরে রাখার মূল নায়ক তৌহিদ হৃদয়। দলের মতো হৃদয়ও হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। মুগ্ধতা ছড়িয়ে ছুটছেন আপন ছন্দে। সেই ছন্দেই এবার কাটা পড়ল ঢাকা ডমিনেটর্স এবং সিলেট পেল নিজেদের চতুর্থ জয়।
আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকাকে ৬২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে সিলেট। টানা চার জয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। শীর্ষে থেকে এবার চট্টগ্রাম মিশন শুরু করবে স্ট্রাইকার্সরা।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ রান করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের আসরে এটিই প্রথম দুইশ ছাড়ানো দলীয় সংগ্রহ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন তৌহিদ হৃদয়। ১৮২ স্ট্রাইক রেটে ৪৬ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি করে চার-ছক্কায়।
জবাব দিতে নেমে ১৩৯ রানে থামে ঢাকা। বড় রান তাড়ায় শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল ঢাকা। শুরুতেই তাদের টপ অর্ডার নাড়িয়ে দেন মাশরাফী। তুলে নেন আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকারের উইকেট। আমির তুলে নেন দিলশানকে।
টপ অর্ডারের বিদায়ের পর দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়ায় বৃথা যায় তাদের চেষ্টা। ২৮ বলে ৪২ রান করে ফেরেন মিঠুন। ৩৫ বলে ৪৪ রান করেন অধিনায়ক নাসির হোসেন।
এর আগে টস জিতে সিলেটকের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা ডমিনেটর্স। আগে ব্যাট করতে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় সিলেট। তাসকিন আহমেদের করা ওই ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট, হারিস করেন ৬ বলে ৬ রান।
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে চমৎকার জুটি উপহার দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ। এই জুটিতে স্কোর বোর্ডে আসে ৫৭ বলে ৮৮ রান। ১১তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আলামিন। ফিরিয়ে দেন থিতু হয়ে যাওয়া শান্তকে। ৭ বাউন্ডারি দুই ছক্কায় ৩৯বলে ৫৭ রান করে থামেন সিলেটের ওপেনার।
শান্ত ফিরলেও উইকেটে ছিলেন ছন্দে থাকা তৌহিদ। ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তরুণ এই ব্যাটার। ১৯তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে টিকে ছিলেন তৌহিদ। মাঠের চারপাশেই বল উড়িয়েছেন ছক্কা-চারে। ঢাকার বোলারদের তুলোধুনো করে সিলেটকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন তৌহিদ। শেষ দিকে নেমে মাশরাফী করেন ৪ বলে ৭ রান।
ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে বল হাতে ৩৬ রান দিয়ে তাসকিন আহমেদ নেন দুটি উইকেট। আলামিন ৩টি উইকেট নিতে দেন ৪৫রান। এ ছাড়া একটি উইকেট করে নেন আরাফাত সানি ও আরিফুল হক।