ব্যাটিং গড়ে সবাইকে ছাড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ
এশিয়া কাপের চার ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৮৮ রান। পরিসংখ্যানের হিসাবে খুব বেশি আহামরি কিছু না। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ এমনভাবে ও এমন সময়ে এই ৮৮ রান করেছেন, পরিসংখ্যানের বিচারে যার মাহাত্ম একেবারেই বোঝা যাবে না। এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় মাহমুদউল্লাহর নাম বেশ কয়েকজনের পরে থাকলেও একটা দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং গড়ের হিসেবে সবার ওপরে আছে মাহমুদউল্লাহর নাম।
চার ম্যাচে ৮৮ রান করা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং গড়ও ৮৮। বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার পেছনে দারুণ অবদান মাহমুদউল্লাহর এই ৮৮ রানের। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছিলেন মাত্র ৭ রান করে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশও জয় পায়নি। হেরে গেছে ৪৫ রানের ব্যবধানে।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে শুরু হয়েছে মাহমুদউল্লাহর অপ্রতিরোধ্য ব্যাটিং। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত থেকে। শেষমুহূর্তে মাহমুদউল্লাহর ১২ বলে ২৩ রানের দারুণ ইনিংসে ভর করেই স্কোরবোর্ডে ১৪৭ রান জমা করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত ম্যাচটাও জিতে নিয়েছিল ২৩ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন আরো দুর্দান্ত। ১৫ বলে ২২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশও দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছে এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকেট।
চারটি ম্যাচ খেলেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাটিং গড়ের হিসাবে মাহমুদউল্লাহর পরে আছেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক। দুজনেই চার ম্যাচে করেছেন ১২১ রান। ব্যাটিং গড় ৬০.৫০। চার ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন দীনেশ চান্দিমাল। ১৪৯ রান। তাঁর পরেই আছেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান। ১৪৪ রান।
এশিয়া কাপে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন হংকংয়ের বাবর হায়াত। বাছাইপর্বে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলে একটি শতক ও একটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে হায়াত করেছেন ১৯৪ রান। সাত ম্যাচ খেলে ১৭৬ ও ১৫১ রান নিয়ে বাবরের পরেই আছেন আরব আমিরাতের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ উসমান ও সাইমান আনোয়ার।