ইশতেহারের জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত চেয়েছে আ.লীগ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইশতেহার তৈরি করতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও কমিউনিটি লিডারদের মতামত চেয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে এ মতামত চাওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একমাত্র রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের সকল অর্জন আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই এসেছে। শুধু স্বাধীনতা অর্জন কিংবা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নয়, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব চিরস্থায়ী ও টেকসইকরণ এবং এর অর্থনীতির মজবুত ভিত্তিমূল জাতির পিতা তৈরি করে গেছেন।
জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পথনকশা ও নির্দেশনা তিনি দিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই পথ নকশা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে তার চার মেয়াদে দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করেছেন। পিতার পর কন্যার হাত দিয়েই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনি ইশতিহারে জাতিকে প্রদত্ত প্রতিটি অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইশতেহারেই সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা ছিল। এর প্রতিটিই অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই উপ-কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার কেবলমাত্র একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে গোটা জাতির ইশতেহার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং আবারও সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগ কী কী নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে এ বিষয়ে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে মতামত প্রেরণের জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এবং কমিউনিটি লিডারদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।