বিএনপির পেশাজীবী কনভেনশন আজ
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ একদফা দাবি আদায়ে পেশাজীবীদের কনভেনশন আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতারা। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মাদ আলীর সভাপতিত্বে কনভেনশন সঞ্চালনা করবেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী।
অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা দেশের মানুষ ও পেশাজীবীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। নিশিরাতের সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ট। মানুষ তাদের হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে। নির্দোষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দাবিতে গোটা জাতি এখন সোচ্চার। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। গুম, খুন, নিপীড়ন করে গায়েবি মামলা দিয়ে বিরোধী দলের ও মতের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্ত, এবার আর তা সম্ভব হবে না। তাই সব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে এই পেশাজীবী কনভেনশন। এখানে সারা দেশ থেকে পেশাজীবীরা উপস্থিত হবেন। এ কনভেনশন সফল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরি বলেন, ‘এ স্বৈরাচারী দুর্নীতিবাজ সরকারের দুঃশাসনে কোনে পেশার মানুষই ভালো নেই। সবাই নির্যাতিত হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে এখন কিছুই নেই। মানুষ এখন কথা বলতে ভয় পায়। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ নানান কালাকানুনের মাধ্যমে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। সরকারের সমালোচনা করলেই নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়, শান্তিতে বসবাস করতে চায়।’