‘নোয়াখালী-৫ এ আমি নিজেই’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ওপরই ভরসা রেখেছে আওয়ামী লীগ। আসনটিতে দলের হয়ে লড়বেন তিনি। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়মী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। একপর্যায়ে আসে নোয়াখালী-৫ আসনে নাম ঘোষণার পালা। এ সময় ওবায়দুল কাদের হেসে বলেন, ‘নোয়াখালী-৫ এ আমি নিজেই’।
দীর্ঘ সময় মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তাদের সমর্থকরা মনোযোগ সহকারে নাম শুনছিলেন। প্রত্যাশিত প্রার্থীর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শোনা যাচ্ছিল স্লোগান। এরই মধ্যে আসে নোয়াখালী-৫ আসনের পালা। আর সেই আসনে যার নাম ছিল, তিনি খোদ মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণাকারী ওবায়দুল কাদের। একটু হাসি দিয়ে সবার মধ্যে যেন ছড়িয়ে দেন উচ্ছ্বাস। বলেন, ‘নোয়াখালী-৫ এ আমি নিজেই।’ এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মী উচ্ছ্বসিত হন। তারা স্লোগান দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানান।
জাতীয় সংসদের ২৭২ নম্বর নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালী-৫ আসন। এই আসনে দলের একক প্রার্থী হিসেবে ওবায়দুল কাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ২৯৮ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করে। বাদ থাকে কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫। আজ সকালে সবটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন দলের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর বিকেল ৪টার পর মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন দলীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে হিসেবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচন উপলক্ষে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি করে দলটি। এবার মোট তিন হাজার ৩৬২ মনোনয়নপত্র বিক্রি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে ১২১টি অনলাইনে ও তিন হাজার ২৪১টি মনোনয়নপত্র সরাসরি বিক্রি হয়।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। এরপর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর এই মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি করা হবে ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর।
অন্যদিকে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচারণা চালানো যাবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দুই দিন পূর্ব, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১ কেটি ৯৭ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট দুই লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ চলবে।