বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরই দক্ষিণ এশিয়ার, ঢাকা পঞ্চম
সারা দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৭৫ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তালিকায় ওপরে থাকা বাকি চার শহরও দক্ষিণ এশিয়ার।
ভারতের কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২৪০, ২১১, ১৮৩ ও ১৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ এর বেশি একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।