সোহানের সঙ্গে ‘গণ্ডগোলেই’ নাসির বাদ!
কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। দলের কোচ, অধিনায়ক থেকে শুরু করে সবারই তাঁর ওপর বেশ আস্থা ছিল।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রায়ই নাসির সম্পর্কে বলতেন, ‘তাঁর মতো খেলোয়াড় আমাদের দলে খুবই প্রয়োজন।’ অথচ সেই নাসিরই কিনা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুধু বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলেছেন! এরপর আর তাঁকে একাদশেই নেওয়া হয়নি। খেলতে পারেননি সুপার টেনের একটি ম্যাচও।
নাসির নিচের সারিতে খুবই কার্যকর ব্যাটসম্যান এবং অফস্পিনে খুবই দক্ষ বোলার। তাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেন তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নাসিরকে একাদশে না নেওয়ার মূল কারণ ছিল তাঁর অনিয়ন্ত্রিত কিছু আচরণ। তা ছাড়া বাছাই পর্ব চলাকালে ধর্মশালায় দলের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর পর থেকেই বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর ওপর খুবই বিরক্ত। তাই সুপার টেনের একটি ম্যাচেও তাঁকে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এই গণ্ডগোলের কারণে তরুণ ব্যাটসম্যান সোহানও বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। পুরো আসরেই তিনি সাইডবেঞ্চে বসে ছিলেন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল সোহানের। সেই সিরিজে তেমন ভালো কোনো সাফল্য না পেলেও ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ এবং এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পান। এশিয়া কাপে দুই ম্যাচ খেললেও বিশ্বকাপে তিনি খেলার সুযোগ পাননি।
অবশ্য নাসির বাংলাদেশ দলের খুবই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। এখন পর্যন্ত ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৩৭০ রান করেছেন। যাতে রয়েছে দুটি অর্ধশতক। বলহাতেও বেশ কার্যকরী তিনি, মোট সাতটি উইকেট নিয়েছেন।
তাই সুপার টেনে নাসিরকে দলে না নেওয়ায়, অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ দলের কোচ ও অধিনায়ককে। দেশে ফেরার পরও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও জবাব দিতে হয়েছে কেন খেলানো হলো না এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে।