কঙ্গনাকে মুম্বাই পুলিশের তলব
বলিউডি অভিনেতা হৃতিক রোশনের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের তিন-তিনবার জাতীয় পুরস্কারজয়ী বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত ও তাঁর বোন রঙ্গলিকে সমন পাঠালো মুম্বাই পুলিশ। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স থানায় হৃতিকের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স থানার পুলিশ এই সমন পাঠিয়েছে কঙ্গনা ও তাঁর বোনকে। এই সমনের সাতদিনের মধ্যে কঙ্গনা ও তাঁর বোনকে থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় গিয়ে নিজেদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
হৃতিকের নাম ভাঙিয়ে কেউ জাল ইমেইল অ্যাকাউন্ট খুলেছে—মুম্বাই পুলিশের সাইবার শাখায় এমন অভিযোগ প্রথম হৃতিক নিজেই জানিয়েছিলেন। অবশ্য সেই অভিযোগে প্রথমে সন্দেহভাজনদের তালিকায় কঙ্গনার নাম দেননি তিনি। পরে এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে আবেদন জানানোর সময় হৃতিক পুলিশের কাছে কঙ্গনার নামও জানান।
হৃতিকের দাবি, কঙ্গনার কাছেই তিনি প্রথম তাঁর জাল অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পারেন। ২০১৪ সালের মে মাসে হৃত্বিক তাঁর নাম ব্যবহার করা ওই ভুয়া ইমেইল অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরেছিলেন। কে তাঁর নাম ব্যবহার করে এই কাজ করেছে, তা জানার জন্য ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই থানায় অভিযোগ করেন হৃতিক।
এরপর পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়। সম্প্রতি হৃতিক কঙ্গনাকে পাঠানো আইনি নোটিশে জানিয়েছেন, অভিনয়গত পরিচয় ছাড়া তাদের মধ্যে আর কোনো রকম সম্পর্ক নেই। যদিও কঙ্গনার তরফে পালটা আইনি নোটিশে দাবি করা হয়, তিনি হৃতিক ও হৃতিকের পরিবারের কাছে মোটেই অপরিচিত নন।
তবে কঙ্গনা ও তাঁর বোন রঙ্গলির বিরুদ্ধে পুলিশের সমন প্রসঙ্গে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার মক্কেল কঙ্গনা রানাউত ও তাঁর বোনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যে সমন পাঠানো হয়েছে, তা বেআইনি। ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬০ ধারায় সাক্ষ্য দিতে আমার মক্কেলকে পুলিশ থানায় তলব করতে পারে না। আইনত কোনো পুলিশ আধিকারিক সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য কোনো মহিলাকে থানায় ডেকে পাঠাতে পারেন না।’ তাঁর মক্কেল কঙ্গনা রানাউত তদন্তের কাজে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানানোর পরেও কেন তাঁকে সমন পাঠানো হল—সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
কঙ্গনা নাকি তাঁর আইনজীবী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ও তাঁর বোন রঙ্গলি থানায় যাবেন না। এই নাটক আরো কতদূর গড়ায়, তা অনুমান করা এখন আসলেই কঠিন বটে!