তাসকিন-তানজিমের জোড়া শিকারে বাংলাদেশের স্বস্তি
লক্ষ্যটা ১৬০ রানের। জবাব দিতে নেমে বেশ সতর্ক শুরু করে নেদারল্যান্ডস। প্রথম চার ওভারে ডাচদের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে এসে অবশেষে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিলেন তাসকিন আহমেদ।
ডাচ ওপেনার মাইকেল লেভিটকে ১৮ রানে নিজের শিকার বানান তাসকিন। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
পরের ওভারে ডাচদের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ম্যাক্স ও’ডাউডকে কট এন্ড বোল্ড করে ১২ রানে নিজের শিকার বানান তানজিম। পাওয়ার প্লে শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৩৬ রান।
সাকিবের ব্যাটে নেদারল্যান্ডসকে চ্যালেঞ্জ জানাল বাংলাদেশ
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অচেনা মাঠে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেও যে দলের আত্মবিশ্বাস ছিল তলানিতে, অচেনা মাঠেও তাদের দারুণ প্রত্যয়। ব্যাট হাতে আগের দুই ম্যাচের চেয়ে ভালো সংগ্রহ এসেছে। সুপার এইটে ওঠার স্বপ্নের পালে হাওয়া দিতে নেদারল্যান্ডসকে হারানো প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই ডাচদের ১৬০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
কিংসটাউনের আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্র পর্বে রান তুলতে ব্যাটাররা খাবি খেলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। তাতে অবশ্য বদলায় বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চিত্র।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে তিন বলে মাত্র এক রান করে ফিরে যান তিনি। আরিয়ান দত্তের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে শান্ত ধরা পড়েন বিক্রমজিৎ সিংয়ের হাতে। বাংলাদেশের রান তখন সবে তিন! ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাস এদিনও ব্যর্থ ব্যাট হাতে। দুই বলে এক রান করে তিনিও দত্তের শিকার হন। অনেকটা পথ দৌড়ে এসে চমৎকার এক ক্যাচ নেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট।
২৩ রানে দুই উইকেট তুলে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান ও তানজিদ তামিম জুটি। দুজন মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। দলীয় ৭১ রানে বিদায় নেন তামিম। তাকে ফেরান ফন মিকেরেন। ২৬ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছয়ে ৩৫ করেন তামিম। তাওহিদ হৃদয় ব্যর্থ হলেন তৃতীয় ম্যাচে এসে। ১৫ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ৯ রান করে বিদায় নেন। তাকে বোল্ড করেন টিম প্রিঙ্গল।
এর পরের পথটুকু সাকিবের সঙ্গে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। তবে, বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। দুটি করে চার ও ছক্কার মারে ২১ বলে ২৫ করে শিকার হন মিকেরেনের। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ এক ক্যাচ নেন সাইব্র্যান্ড। মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেও ঢাল হয়ে ছিলেন সাকিব। তিনি কেন সেরা সেটি প্রমাণ করলেন আরেকবার।
৩৮ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৩তম এবং বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৬ বলে ৬৪ রানে। নিজের ইনিংসটি সাজান ৯টি চারের মারে।
ডাচদের পক্ষে চার ওভারে ১৭ রানে দত্ত দুই উইকেট পান। চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে মিকেরেনও নেন দুই উইকেট।