রেকর্ড গড়েই নাদালের ‘রুদ্রমূর্তি’
ক্লে-কোর্টে রাফায়েল নাদালের পারফরম্যান্স অবিশ্বাস্য। লাল মাটির কোর্টে দুর্দান্ত সাফল্যের কারণে টেনিস সার্কিটে তাঁর আরেক নাম ‘কিং অব ক্লে’। গত রোববার ক্লে-কোর্টে আরেকটি সাফল্য পেয়েছেন নাদাল, বার্সেলোনা ওপেনের ফাইনালে ৬-৪, ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন কেই নিশিকোরিকে। ক্লে-কোর্টে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গিলের্মো ভিলাসের ৪৯টি শিরোপার রেকর্ড স্পর্শ করার পরদিনই কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়েছেন নাদাল। ফ্রান্সের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
গত মাসে মারিয়া শারাপোভা স্বীকার করেছিলেন, জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলার সময় ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। রুশ তারকার এই স্বীকারোক্তিতে ঝড় উঠেছিল টেনিস-বিশ্বে। সেসময় ফ্রান্সের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী রোজলিন ব্যাশলো মারাত্মক এক অভিযোগ এনেছিলেন নাদালের বিরুদ্ধে। হাঁটুর চোটের কারণে ২০১২ সালের শেষ ছয় মাস কোর্টের বাইরে থাকতে হয়েছিল নাদালকে। তবে ব্যাশলোর দাবি, ড্রাগ টেস্ট এড়ানোর জন্যই নাকি সেই সময় চোটের ভান করেছিলেন স্প্যানিশ তারকা।
এমন অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ ক্ষুব্ধ নাদাল। ব্যাশলোর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মামলার মাধ্যমে নিজের শুদ্ধতা আর খেলোয়াড় হিসাবে ভাবমূর্তি রক্ষা করার পাশাপাশি মূল্যবোধ রক্ষা করাও আমার উদ্দেশ্য। কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া, শুধু গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে কোনো-কোনো জনপ্রতিনিধি একজন খেলোয়াড়কে অপমান বা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে থাকেন অনেক সময়। তাঁদের কোনো ধরনের শাস্তিও হয় না। আমি এটা প্রতিরোধ করতে চাই।’
নাদালের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রান্সের ফুটবল-কিংবদন্তি ও রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান। নাদালের রিয়ালপ্রেমের কথা কারো অজানা নয়। মাদ্রিদের বিশ্ববিখ্যাত ক্লাবটির সাম্মানিক সদস্যও তিনি। দলের শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জিদানের মন্তব্য, ‘রাফা নাদালের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। কারণ তিনি একজন নিপাট ভদ্রলোক। তাঁর মূল্যবোধের কথা সবারই জানা। তাই সবাই তাঁকে ভালোবাসে। এসব ব্যাপার একপাশে সরিয়ে রেখে শুধু একটা কথাই মাথায় রাখতে হবে তাঁকে। তা হলো, যে খেলাধুলা ভালোবাসে সে রাফা নাদালকেও ভালোবেসে। সে ফরাসী, স্প্যানিশ বা আমেরিকান যে-ই হোক না কেন।’