পাকিস্তানের নতুন কোচ মিকি আর্থার
ওয়াকার ইউনিস দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে নতুন কোচের সন্ধানে ছিল পাকিস্তান। সাবেক গতিতারকার উত্তরসূরী পেতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। কোচ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মিকি আর্থারকে দায়িত্ব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, ‘বিস্তারিত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া শেষে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন মিকি আর্থার। আশা করি এ মাসের শেষ নাগাদ পিসিবিতে যোগ দিতে পারবেন তিনি।’
আগামী ১৭ মে ৪৮ বছর পূর্ণ করতে যাওয়া আর্থারের প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ ইংল্যান্ড সফর। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সফরে চারটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। ২০১০ সালে সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর পর এটাই হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রথম ইংল্যান্ড সফর।
ইদানীং তেমন কোনো সাফল্যের দেখা পায়নি পাকিস্তান। বরং ব্যর্থই বলতে হবে ইমরান-মিয়াঁদাদের দেশকে। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জেরে কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওয়াকার। শহীদ আফ্রিদিও ছেড়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব। মিকি আর্থারের সামনে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
কোচ হিসেবে আর্থারের অর্জন অবশ্য কম নয়। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে তাঁর কোচিংয়ে ৪৫টি টেস্টের ২২টিতেই জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজও প্রোটিয়ারা জিতেছিল তাঁর কোচিংয়ে। দুটো সিরিজই হয়েছিল ২০০৮ সালে। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৩টি জয়ের রেকর্ডও দক্ষিণ আফ্রিকানরা স্পর্শ করেছিল আর্থার কোচ থাকার সময়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিদেশি কোচ হওয়ার কৃতিত্বও আর্থারের। যদিও অস্ট্রেলিয়াতে ব্যর্থতা সঙ্গী ছিল তাঁর। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার, ভারত সফরে ৪-০ তে হোয়াইটওয়াশ আর ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থতার কারণে পদচ্যুত হয়েছিলেন তিনি। অ্যাশেজ শুরু হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আর্থারকে সরিয়ে ড্যারেন লেম্যানের হাতে কোচের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।