যুদ্ধ বন্ধে এক টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যতা বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বজনবিদিত। এই সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এক দিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব—নির্বাচনি প্রচারণায় এমন কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প। শপথের পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকেও ট্রাম্পও বলেন, পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের আয়োজন চলছে।
তবে কখন এই বৈঠক হবে, সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। ফ্লোরিডায় মার-আ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি (পুতিন) বসতে চেয়েছেন, আমরা আয়োজন করছি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ও পুতিনও আগ্রহী। আলোচনার টেবিলে বসতে কোনো ধরনের শর্ত আরোপ করা হবে না। এটি হবে নিঃশর্ত ও পরিচ্ছন্ন আলোচনা।’
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ জানুয়ারি শপথের পর পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প। সেখানে মস্কো-কিয়েভ সংঘাত নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করা হবে।
সমস্যা সমাধানে পুতিন আগ্রহী জানিয়ে পেশকভ বলেন, দুপক্ষের সদিচ্ছাই এ আলোচনা হবে। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলমান সমস্যা নিরসনের পথ বের হয়ে আসবে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, শপথের ৬ মাসের মধ্যে মস্কো ও কিয়েভকে শান্তি চুক্তিতে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে ট্রাম্পের বিশেষ সহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কিলোগ বলেন, ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
যদিও কোন প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ বন্ধ হবে—তেমন কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি ট্রাম্প। এদিকে পুতিনের ভাষ্য, রাশিয়ার দখল করা ভূমি থেকে ইউক্রেন নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নিলে ও ন্যাটো যুদ্ধে প্রভাব খাটানো বন্ধ করলে ত্বরিৎ গতিতে সমাধান সম্ভব।