ক্রিকেটার শাহাদাতের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল
ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নির্যাতনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়েছে। আগামী ১৫ জুন পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর বিচারক তানজিলা ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু আদালতে বাদী সাক্ষ্য দিতে না আসায় এবং শাহাদাত প্রিমিয়ার লিগের খেলায় ব্যস্ত থাকায় বিচারক রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নুতন করে এ দিন ধার্য করেন।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একই আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বর্তমানে তাঁরা দুইজনই জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, স্ত্রী নিত্যকে গত ৪ অক্টোবর ভোরে দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম হ্যাপি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি জিডি করেন। এরপর একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর তাঁকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করেন শাহাদাতের বাসায় তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল হক শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।