পুলিশ এ শোককে শক্তিতে পরিণত করবে
একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেবে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী। পুলিশ বিভাগ এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান তিনি।
আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের বাসায় এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জাবেদ পাটোয়ারী। এর আগে জিইসি মোড়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত আইজিপি বলেন, বাবুল আক্তার একজন পেশাদার, সৎ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁর প্রিয় স্ত্রীকে হত্যা করে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এটি কাপুরুষোচিত একটি ঘটনা। পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা দেশে প্রথম বলে জানান তিনি। এ ঘটনার তদন্তে পুলিশের সব ইউনিট একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত আইজিপি।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ঠুনকো নয়। বিগত ২০১৩ সালে পুলিশ ১৭ জন কর্মকর্তাকে হারিয়েছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আড়াইহাজার কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। প্রায় ৩০০ জন পুলিশ সদস্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। সুতরাং বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভেঙে যাবে এ ধরনের মনে করার কোনো কারণ নেই।
আজ সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু (৩৫) নিহত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে ছেলেসন্তান আক্তার মাহমুদ মাহিরকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন মিতু। বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত প্রথমে মিতুকে ধাক্কা দেয়। পরে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর মাথার পেছনে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাবাসসুম তাসনিম নামের এক মেয়েও রয়েছে এ দম্পতির।
বাবুল আক্তার সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি এসপি পদে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় বদলি হন।