মিতু হত্যা : মুছার খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনরা
পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন কামরুল সিকদার ওরফে মুছার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না তাঁর পরিবার। স্বজনদের দাবি, গত ১২ দিন ধরে মুছার কোনো খোঁজ মিলছে না।
আজ রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার। নিজের দুই সন্তান নিয়ে প্রেসক্লাবে আসেন পান্না।
এদিকে মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন পাঁচ ব্যক্তি যাতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য সতর্কতা জারি করেছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে মুছা নামের এক ব্যক্তি রয়েছেন। বাকি চারজন হলেন রাশেদ, নবী, শাহজাহান ও কালু।
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের পান্না আক্তার দাবি করেন, গত ২২ জুন সকালে বন্দর থানা এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে মুছাকে আটক করা হয়। আটকের সময় মুছাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এমন আশ্বাসের কথা জানান সাদা পোশাকে আসা পুলিশ সদস্যরা। এরপর রাঙ্গুনিয়া থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নেন নিখোঁজ মুছার পরিবার। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মুছাকে আটকের কথা স্বীকার করছেন না।
পান্না আকতার বলেন, ‘আমার সামনে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার স্বামীকে তুলে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাসুর ও স্বামী মুছাকে নিয়ে যায়। ভাসুরের হদিস পাওয়া যায় ১০ দিন পর। আমার স্বামীর কোনো খোঁজ নেই। কেউ বলছে মেরে ফেলেছে। গতকাল একটি পত্রিকায় দেখলাম লেখা হয়েছে মুছা প্রশাসনের দায়িত্বে তাদের কাছে আছে। গোয়েন্দা বিভাগে নাকি জানা গেছে। স্বামীকে জীবিত দেখতে চাই। ফেরত পেতে চাই। দোষ করলে আইন আছে, আদালত আছে তাদের মাধ্যমে তোলা হোক।’
গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা মিতুকে গুলি করে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আটজনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।