হরিণ শিকারের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সালমান
অবশেষে কৃষ্ণসার হরিণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই মামলা চলার পর আজ সোমবার সকালে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে রাজস্থান হাইকোর্ট সালমানকে মুক্তি দেন এই মামলা থেকে। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিত কৌর জানান, সালমানের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলিতেই যে হরিণ দুটির মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
সোমবার সকালে মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সালমানের বোন আলভিরা খান অগ্নিহোত্রী। রায় প্রকাশের পর স্বভাবতই স্বস্তির শ্বাস পড়ে মুম্বাইয়ের খান পরিবারে। তবে এত দিন মামলা চলার পর সালমান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সালমানের বাবা সেলিম খান। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরে কোনো মন্তব্য করিনি, আজো করব না।’
১৯৯৮ সালে সুরজ বারজাতিয়ার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন সালমানের বিরুদ্ধে একটি কৃষ্ণসার ও একটি চিঙ্কারা হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে বলা হয়, ওই বছরের ২৬ ও ২৮ সেপ্টেম্বর জিপে করে জঙ্গলে গিয়ে এই হরিণ শিকার করেন সালমান। সালমান ছাড়াও ওই ছবির অন্যান্য অভিনেতা সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সবশেষে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে সালমানের।
২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল সালমানকে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন রাজস্থান হাইকোর্ট। কিন্তু জামিন পেয়ে যান সালমান। জামিন পেয়েই ফের আদালতের কাছে নতুন করে শুনানির আবেদন করেন তিনি। সেই শুনানিতে সালমানের আইনজীবী মহেশ বোরা দাবি করেন, সালমানের হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া এয়ারগান ও গুলিতে কোনো প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে না। সালমানের আইনজীবীর এই যুক্তি মেনে নেন রাজস্থান হাইকোর্ট।
রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিত কৌর জানান, সালমানের হোটেলের ঘর থেকে যে গুলি উদ্ধার হয়েছিল তার সঙ্গে শিকারের সময় ব্যবহৃত গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া গুলির কোনো মিল নেই। গুণ-মানে দুটি গুলি আলাদা। এ ছাড়া পুলিশের পেশ করা ছুরিটিকেও খারিজ করে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ছুরি দিয়ে হরিণ মারা যায় না। ফলে হরিণ শিকার মামলা থেকে সালমানকে বেকসুর মুক্তি দেন বিচারপতি।