ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের জঙ্গি বানানো হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উত্থানের জন্য বিএনপিই দায়ী। কারণ তারা যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছে। আর সেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নেতৃত্বাধীন জামায়াত-শিবির ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের জঙ্গি বানাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের রায়েরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত জঙ্গি, নাশকতাকারী ও মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
মেহের আফরোজ চুমকি আরো বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তানের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে মুছে দিয়ে একটি উগ্র মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকরা সফল হতে পারেনি। বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ষড়যন্ত্র আজো অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার জন্যে ৭৫-এর ষড়যন্ত্রকারীরা আজো সক্রিয় রয়েছে। তাই তাদের দমাতে ৭১-এর মতো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই দেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল করা যাবে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুণ-অর-রশিদের সভাপতিত্বে ও কালীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সালেহ উদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ, গোলাম সবুর, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি ভূইয়া, সহসভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মন্দিরের পুরোহিত, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া, উন্নয়নকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, জঙ্গিবিরোধী প্রতিরোধ কমিটির সদস্য, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য, চৌকিদার-দফাদার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।