খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় আরো ১৫ জনের সাক্ষ্য
সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় দ্বিতীয় দিনে আরো ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকায় চিকিৎসাধীন খাদিজা এবং স্কয়ার হাসপাতালের খাদিজার চিকিৎসককে আগামী ১৫ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আজ রোববার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ১৫ জন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে ছিলেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আতাউল গনি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হারুনুর রশীদ, প্রত্যক্ষদর্শী তামান্না।
এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। এ মামলায় সাক্ষী রয়েছেন ৩৬ জন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) মাহফুজুর রহমান জানান, আদালতের বিচারক এ মাসের ১৫ তারিখ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন। সেদিন স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং খাদিজাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন আহত খাদিজা আক্তার নার্গিস। তিনি এখনো ঢাকার সিআরপিতে চিকিৎসাধীন। এ মামলায় খাদিজার সাক্ষ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন একই আদালতে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে গত ১৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।