এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করছেন হাইকোর্ট।
ইতিপূর্বে এ বিষয়ে করা জামিন প্রশ্নে দেওয়া রুল বাতিল করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই খারিজাদেশ দেন।
গত ২৭ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন রানা। তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে আজ রানার পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ ১৪ জনকে আসামি করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ৬ এপ্রিল আসামিদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন আদালত। টাঙ্গাইলের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জেলার সাবেক ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনিসুল ইসলাম রাজা, কবির হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ মিয়া, চান, নুরু, সানোয়ার হোসেন, দাঁতভাঙা বাবু, ফরিদ হোসেন, আবদুল হক ও সমির হোসেন।