বৃথাই গেল তামিমের সেঞ্চুরি
প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হাওয়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। সম্প্রতি সাকিব-মুশফিকদের ব্যাটিংয়ে এমন দুর্দশা দেখা যায়নি বলেই এই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। আশার কথা, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা স্বরূপে ফিরেছিলেন। বিশেষ করে ওপেনার তামিম ইকবালের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তিন শতাধিক রানও করেছে লাল-সবুজের দল।
অবশ্য শেষ পর্যন্ত তামিমের এই সেঞ্চুরি বৃথাই গেছে। কেনিংটন ওভালে এই বিশাল সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক ইংল্যান্ড সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে। তারা জিতেছে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তামিম, এটা হয়তো তাঁর জন্য কিছুটা আক্ষেপ হয়েই থাকবে। বোলারদের ব্যর্থতায় এই ম্যাচে নূন্যতম লড়াইও করতে পারেননি মাশরাফিরা।
অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই মাশরাফি দারুণ একটি ধাক্কা দিয়েছিলেন, ইংলিশ ওপেনার জ্যাসন রয়কে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল ম্যাচটি জিততে হলে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে স্বাগতিকদের। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি বোলাররা মোটেও চাপ প্রয়োগ করতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ওপর। তাই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা সহজেই জয় তুলে নেয়।
যদিও এই ম্যাচে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন তামিম, বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানে ইনিংস খেলেন। সেই সঙ্গে ভেঙে ফেলেন নিজের রেকর্ডও।
এর আগে ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৫ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এতদিন এটিই ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। এবার সে ইনিংস ছাড়িয়ে গেছেন তিনি, করেছেন ১২৮ রান। ১৪১ বল খরচ করে এই ইনিংস গড়েন তিনি। যাতে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের এটি দ্বিতীয় শতক হলেও এর আগে আরো দুই বাংলাদেশি দুটি সেঞ্চুরি করেন, ইমরুল কায়েস (১০২) ও মাহমুদউল্লাহ (১০৩)।
আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এটি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই আসরে এর আগে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালে ভারতের জয়পুরে।
তামিম এর আগে প্রথম সেঞ্চুরি করেন, ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি করে এবং জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।