বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই
আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটা দেখেছে প্রবল আগ্রহ নিয়ে। আমিও দেখেছি। কারণ বাংলাদেশকে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচটা খেলতে হবে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপজয়ীদের বিপক্ষে। আর আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম যে, অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে নতুন কী আসতে পারে।
গত শুক্রবার এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। ফলে সোমবার ওভালে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি লড়াইটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই না, অস্ট্রেলিয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য এটা বাঁচামরার লড়াই।
অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে না পারলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
অন্যদিকে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচে হারলে গ্রুপ পর্ব পেরোনো কঠিন হয়ে যাবে তাদের। কাজেই দুই দলের জন্যই ভুল করার কোনো সুযোগ নেই।
এবার আসা যাক দুই দলের তুলনামূলক বিচারে। অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিতভাবেই খানিকটা এগিয়ে আছে। ব্যাটিং-বোলিং; দুই ক্ষেত্রেই। মিডল অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। অস্ট্রেলিয়া দলে আছে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথের মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। বোলিং অ্যাটাকে মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স যেকোনো দলের জন্যই হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। স্পিন আক্রমণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য কিছুটা পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশ অবশ্য এটা ভেবে কিছুটা স্বস্তি পাবে যে, অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের খেলাই যাচ্ছে না, এমনটা মনে হয়নি। তারা খুব দ্রুতগতির হতে পারে। কিন্তু এর মধ্যেও রান বের করার অনেক জায়গা থাকে। যেমনটা লুক রনকি আর কেইন উইলিয়ামস করেছিলেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ বোলিংটা ভালো করেনি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তাদের বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হয়েছে। বোলাররা যদি নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারে, তাহলে আমি সত্যিই মনে করি যে, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমি বাংলাদেশ একাদশে মেহেদী হাসান মিরাজকে দেখতে চাইব। অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা চাইলে নতুন বলেও বোলিং করাতে পারেন ১৯ বছর বয়সী এই অফস্পিনারকে দিয়ে। অস্ট্রেলিয়া দলের মারকুটে ওপেনাররা শুরুতেই স্পিন খেলতে পছন্দ করেন না। ফলে এটা খুব একটা খারাপ হয়তো হবে না।