নিউজিল্যান্ডকে ৩১১ রানের চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ষষ্ঠ ম্যাচে জয়ের জন্য সমানে সমানেই লড়েছে নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। কার্ডিফের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শুরুতে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৩১০ রান। পুরো ৫০ ওভার অবশ্য ব্যাটিং করতে পারেনি স্বাগতিকরা। অলআউট হয়ে গেছে তিন বল বাকি থাকতেই।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালোমতো করতে পারেনি ওয়েন মরগানের দল। অষ্টম ওভারে ৩৭ রানের মাথায় হারিয়েছে প্রথম উইকেট। ১৩ রান করে ফিরে গেছেন জ্যাসন রয়। দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়ে অবশ্য ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। ২১তম ওভারে এসে নিউজিল্যান্ড পেয়েছিল দ্বিতীয় সাফল্য।
অ্যাডাম মিলনে আউট করেছিলেন অ্যালেক্স হালেসকে। ৫৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কয়েক ওভার পরে ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েন মরগানও ফিরে গেছেন ১৩ রান করে। চতুর্থ উইকেটে রুট ও বেন স্টোকস যোগ করেছিলেন আরও ৫৪ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ এক শতরানের ইনিংসের পর আজও রুট খেলেছেন ৬৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। খুব বেশি বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই অবশ্য তাঁকে সাজঘরমুখী করেছেন কোরি অ্যান্ডারসন। মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতক করতে পারেননি স্টোকস। শেষপর্যায়ে জশ বাটলারের ৪৮ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৩০০ রানের কোটা পেরিয়েছে ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন কোরি অ্যান্ডারসন ও অ্যাডাম মিলনে। দুজনেই পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। দুটি উইকেট গেছে টিম সাউদির ঝুলিতে।
বাংলাদেশকে হারিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারালেই সেমিফাইনালে উঠে যাবে উইলিয়ামসনের দল। সেই কারণে কিউইদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না স্বাগতিক দলটি। অপরদিকে এই ম্যাচে হারলেও সম্ভাবনা টিকে থাকবে নিউজিল্যান্ডের। সে ক্ষেত্রে পরের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে হবে তাদের। বাংলাদেশও তাকিয়ে আছে এই ম্যাচের দিকে। আজ নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড জিতলে সেমিফাইনালের আশা টিকে থাকবে বাংলাদেশের।
আর নিউজিল্যান্ড যদি এই ম্যাচ জিতে যায় তাহলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠাটা কঠিন হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশরা যদি শেষ ম্যাচে হেরে যায় আর বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে তাহলে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকবে টাইগাররা।